ঢাকা,শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

পেকুয়ায় এমপির স্বাক্ষর জালিয়তি করে স্কুল কমিটি গঠন

jaliপেকুয়া প্রতিনিধি :

পেকুয়ায় উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হাসান মুরাদ চৌধুরী ও একজন প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন বিদ্যালয়ের অভিভাবকবৃন্দ। উপজেলার টইটং ইউনিয়নের পশ্চিম সোনাইছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন নিয়ে এ দু’জনের ভূমিকায় সংক্ষুব্দ শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও সচেতন মহল শাস্তির দাবীতে এ অভিযোগ উত্তাপন করেছেন। কক্সবাজারের জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবরে ডাকযোগে গত ৫ আগষ্ট লিখিত অভিযোগটি প্রেরণ করা হয়। পশ্চিম সোনাইছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্রমিক ১-২১ জন অভিভাবক স্বাক্ষরিত এ অভিযোগ উত্তাপিত হয়েছে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রধান শিক্ষিকা মোসাম্মৎ দিলরুবা খানমের বিরুদ্ধে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, পশ্চিম সোনাইছড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি চলতি বছরের কয়েক মাস আগে গঠিত হয়েছে। দাতা সদস্য, শিক্ষানুরাগী (পুরুষ) সদস্য, শিক্ষানুরাগী মহিলা সদস্য ক্যাটাগরীরোক্ত নীতিমালার আলোকে নিযুক্ত হয়েছে। শিক্ষক প্রতিনিধি ও এমপির প্রতিনিধি নির্ধারনের সময় প্রধান শিক্ষিকার ভূমিকা ছিল পক্ষপাতমুলক। এমপির প্রতিনিধি নিযুক্তির সময় জালিয়তির আশ্রয় নিয়েছেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। স্থানীয় সাংসদ মোহাম্মদ ইলিয়াছের স্বাক্ষর জালিয়াত করে এমপি কোটায় নিযুক্ত হয়েছেন এক ব্যক্তি। পরে পরিচালনা কমিটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে জয় পরাজয় নির্ধারিত হয়েছে ওই ব্যক্তির ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে। এ ছাড়া প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে আরো ব্যাপক অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, দিলরুবা খানম স্বামীর সাথে চট্রগ্রাম শহরে অবস্থান করেন। তিনি সেখান থেকে নিয়মিত আসা যাওয়া করেন। অনেক সময় দূরবর্তী জায়গা থেকে আসা তার পক্ষে সম্ভবপর নয়। এতে করে অধিকাংশ সময় বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকতে বিলম্ব ঘটে তার। বিদ্যালয়ের সংষ্কার কাজে তার সম্পৃতা নিয়ে প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন অভিভাবকরা।
তারা জানিয়েছেন, ৭ লক্ষ ১৪ হাজার টাকার প্রকল্প বাস্তবায়নের অর্থ থেকে প্রধান শিক্ষিকা মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিদ্যালয়ের অপর সহকারী শিক্ষক ও বিএনপি নেতা মিজানুল করিমের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আনা করা হয়েছে। তার অনৈতিক লেনদেন বিদ্যালয়ের সংষ্কার কাজ বাধাগ্রস্ত হয়েছে। ঠিকাদারের সাথে আতাঁত করেছেন ওই শিক্ষক। মোটা অংকের টাকা বিলি করেছেন তিনি। প্রধান শিক্ষিকা ও উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার পকেটে গেছে সংষ্কার কাজের টাকা। নি¤œমানের কাজ হওয়ায় সরকারী টাকা আত্মসাৎ হয়েছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে নুরুল আমিন, শওকত ওসমান, ছৈয়দুল আলম, ফৌজিয়া ইয়াছমিন, ছাদেকা বেগম সহ পরিচালনা কমিটি ও অভিভাবকরা জানায়, আমরা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি। আহবান করছি এ সবের সুষ্ঠু তদন্তের জন্য। যদি প্রমাণিত হয় জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নিতে হবে।

 

পাঠকের মতামত: